

মোঃ লাভলু, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ এটা আমার জমি, আমার জমি আপনি কেন ভাড়া দেন, শনিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজার পরিদর্শন ও উচ্ছেদ পরবর্তী অবস্থা দেখতে গিয়ে এক দোকানিকে এই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন। তিনি বলেন, গত ২২ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহাসড়কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দোকান বা মার্কেটের সামনের সরকারি জায়গার মালিক সরকার, সেখানে কোন দোকান ভাড়া দেওয়া অবৈধ। চৌদ্দগ্রাম বাজারের একটি ইলেক্ট্রনিকস দোকানের সামনে অবৈধ ফল দোকান বসলে দোকানিকে প্রশ্ন করলে বলেন ভিতরের দোকান মালিককে ১৫০ টাকা ভাড়া বাবদ দেওয়া হয়। এই সময় সেই ইলেক্ট্রনিকস দোকানিকে সতর্কতা মূলক সন্ধা ৫ টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে এবং সামনের অবৈধ দোকান গুলো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মধ্যবত্তি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মহাসড়কের ৪৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থান। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশের একাধিক স্থানে যানজট ছিল নিয়মিত চিত্র। ঈদের সময়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজট বেড়ে আরও দ্বিগুন আকার ধারন করে। সড়কের পাশে ফুটপাতে ভ্রাম্যমান হকার, সড়ক দখল করে আন্ত:জেলা বাস সার্ভিসগুলো দাড়ানোয় চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে যানজট ছিল অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এর ফলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে মহাসড়কে চলমান যাত্রীদের নেতিবাচক ধারনা ছিল।
গত ২২শে মার্চ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, চৌদ্দগ্রাম সেনাক্যাম্প, হাইওয়ে পুলিশ, চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগীতায় মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশের ফুটপাত দখল উচ্ছেদ করা হয়। গত ২৩শে মার্চ থেকেই পাল্টে গেছে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশের চিত্র। মহাসড়কের নিয়মিত যানজট এখন আর দেখাই যায় না। সেনাবাহিনীর তৎপরতার কারণে সড়কগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন যানচলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।