সোহরাব হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: টাঙ্গন ও ধ্রুবতারা বেতার শ্রোতাক্লাবের উদ্যোগে ১০০ টি পরিবারের মাঝে ইদের উপহার বিতরণ করা হয়েছে এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও শ্রোতাক্লাবের উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) জেলা শহরের আর.কে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে শ্রোতাক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসানের সঞ্চালনায় এবং মো: আলমগীর ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক পরিচালক মো: আব্দুর রহিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও বেতারের সহকারী পরিচালক অভিজিত সরকার, আর.কে. স্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম জুয়েল। এছাড়াও সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর. কে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহিদুল ইসলাম স্বপন, ডেইলি ফ্রেশ বেকারির স্বত্বাধিকারী ও ধ্রুবতারা বেতার শ্রোতাক্লাবের সভাপতি ফেরদৌস আরা বেগম, টাঙ্গন বেতার শ্রোতাক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মো: আলেকচান।
আয়োজনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ধ্রুবতারা বেতার শ্রোতাক্লাবের সভাপতি ফেরদৌস আরা বেগম । এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ঠাকুরগাঁও বেতারের সংগীত পরিচালক নজরুল ইসলাম দেওয়ান, টাঙ্গন বেতার শ্রোতাক্লাবের সভাপতি মো: আলমগীর ইসলাম, উপদেষ্টা আলেকচাঁন প্রমুখ।
বক্তব্য প্রদান শেষে সংগঠনের উপদেষ্টা ও আর.কে. স্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান যিনি টানা পাঁঁচবার ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহিম বলেন,”শ্রোতাক্লাবের মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আমরা বিশ্বাস করি শ্রোতাক্লাবের প্রত্যেকটি সদস্য একেকটি রেডিও। ”
আলোচনা ও সংবর্ধনা প্রদানের পর নিম্নবিত্ত পরিবারের মাঝে ইদের উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
ইদ উপহার পেয়ে লাকি আক্তার (৪৩) বলেন, “সেমাই মুড়ি চিনি কিনা নেহেনে চিন্তায় ছিনু। এলা চিন্তা দূর হুইছে। ইদের দিন হামরা সেমাই খামো।”
উল্লেখ্য যে, টাঙ্গন বেতার শ্রোতাক্লাব ইতোপূর্বে ‘ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ যুব সংগঠন বেতার শ্রোতাক্লাব’ নামে কর্মসূচি পালন করে এসেছে।
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা এই সংগঠনটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ সালে তাঁদের নাম পরিবর্তন করে টাঙ্গন বেতার শ্রোতাক্লাবে পরিণত করে।
বেতারের নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছাড়াও বৃক্ষরোপন, রক্তদান, পাঠচক্র, কুইজ প্রতিযোগিতা, ইদ বিতরণ করে আসছে।