আলিহায়দার মিদুল (সিলেট জেলা):
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ট্রাক মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলকারীরা নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
ডা. দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ অভিযোগ করে জানান, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনি সভায় আকস্মিক হামলা চালান নৌকার প্রার্থীর কর্মী ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা ও তার সহযোগিরা।
এ ব্যাপারে ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন- হামলার ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকরাসহ সাধারণ ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। তারা আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। আজ সভায় হামলাও করে বসলেন।
এ ঘটনার পর ডা. দুলাল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিষয়টি শুনেই খবর নিয়েছি। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এমন করতে পারে না। এছাড়া আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের বলে দিয়েছি- নির্বাচনি প্রচারণাকালে কেউ যেনো কোনো অন্যায় আচরণ না করে। মূলতঃ আলোচনায় আসতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার। তবে ৭ জানুয়ারি সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন সিলেট-৩ আসনের সাধারণ জনগণ। কারণ- আমি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অবিরাম এই আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি।’
তাছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, নৌকা মার্কার সমর্থকদের একটি মিছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা: দুলাল এর পথসভার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় দুপক্ষের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।