মোহাম্মদ শিবলী সাদেক (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার ৩ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন র্যাব-১৫এর হাতে গ্রেফতার ।
গত ২৮ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ কক্সবাজার চৌফলদন্ডী উত্তরপাড়ার মোঃ আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল (৩৫) টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে টেকনাফ উপজেলাধীন রাজারছড়া এলাকা হতে তার দুই বন্ধু ইমরান ও ইউসুফসহ অস্ত্রের মুখে অপহরণের শিকার হয়। পরদিন রুবেলের মোবাইল থেকে অপহরণকারীরা ভিকটিমদের পরিবারের নিকট ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবীসহ অপহৃতদের নিযার্তনের ভিডিও প্রেরণ করে।
তখন পরিবারের পক্ষ থেকে র্যাব-১৫ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ভিকটিমদের উদ্ধারসহ অপহরণ কারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে। র্যাব-১৫ ভিকটিমদের নির্যাতনের ফুটেজে অপহরণকারী চক্রের একজনের চেহারার সামান্য অংশ দেখতে পায়। এপ্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজে দেখা ব্যক্তিকে সনাক্তকরণসহ অপহৃত ভিকটিমদের উদ্ধারের লক্ষ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১৫, কক্সবাজার গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও র্যাবরে আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তসহ ভিকটিমদের উদ্ধারের লক্ষ্যে একাধিকবার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, গত ২৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের মূলহোতা সৈয়দ হোসেন প্রঃ সোনালী ডাকাত কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে সোনালী ডাকাতের দেওয়া তথ্য মতে টেকনাফ থানাধীন তুলাতলীঘাট এলাকা থেকে এমরুল করিম প্রঃ ফইর নামে অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত অপর একজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ-বিষয়ে র্যাব-১৫ বলেন অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের আভিযান অব্যাহত আছে।গ্রেফতারকৃত অপহরণ কারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।